সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তি আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আর নেই

মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানী, প্রখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিলো ৬২ বছর।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ভোরে রাজধানীর আফতাব নগরে নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি হৃদযন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন। 


বুলবুলের রেকর্ডিস্ট রোজেন বাংলানিউজকে বলেন, ভোর ৪টার দিকে স্যার আমাকে ফোন করে অসুস্থতাবোধের বিষয়টি জানান এবং তার বাসায় যেতে বলেন। আমি ১৫ মিনিটের মধ্যে বাসায় গিয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নিকটস্থ একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মরদেহ এখন তার আফতাব নগরের বাসায় রাখা হয়েছে বলেও জানান রোজেন।

১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকায় জন্ম নেওয়া বুলবুল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন বুলবুল। ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘সেই রেল লাইনের ধারে’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য’র মতো দেশাত্মবোধক গানগুলোতে তার দেওয়া সুর বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে স্পন্দন তুলবে চিরদিন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৩৫০টির মতো চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি। এর মধ্যে ‘নয়নের আলো’, ‘দেশ প্রেমিক’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘আম্মাজান’, ‘ইতিহাস’ উল্লেখযোগ্য।

সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননায় ভূষিত হন। তার মৃত্যুতে দেশের সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নবীনতর পূর্বতন